চিরিরবন্দর সংবাদদাতা ॥ করোনার কারণে সারা দেশের ন্যায় প্রায় ১৩ মাস ধরে সরকারী বেসরকারি স্কুল, আলিয়া মাদরাসা ও কলেজ বন্ধ রয়েছে। ক্বওমী মাদরাসা বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর খুলে দিলেও সম্প্রতি লকডাউন ও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আবারো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অনলাইনে টুকটাক ক্লাস হলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই দু:সময়ে সরকারী বা আধা সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নিয়মিত বেতনাদি পেলেও কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও বেসরকারী নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রাইভেট কোচিংসহ সব ধরনের সুবিধাবঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
তারা সমাজের বিশেষ সম্মানীয় ব্যক্তি হওয়ায় ও মূলধনের অভাবে অন্য কোন পেশাও বেছে নিতে না পারায় বেকায়দায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কেউ কেউ ঘরভাড়া, বিদ্যুৎবিল ও স্টাফদের বেতনাদি না দিতে পেরে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি নন্দন কুমার দাস বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলার প্রায় ৮৫টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মধ্যে অন্তত ১০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ইতোমধ্যে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। আরো কিছু বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এসব স্কুলের প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চিরিরবন্দর উপজেলার হোমল্যান্ড রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক মোঃ গোলাম রব্বানী বলেন, বেসরকারী বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা দীর্ঘ সময় ধরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। অথচ এসব স্কুলের প্রতি সরকারের কোন দয়াদৃষ্টি না থাকায় আমরা নানাবিধ সমস্যায় রয়েছি।
আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের সঙ্গীত (তবলা) শিক্ষক আরব আলী বকুল বলেন, কেউ কেউ ঘরে বসে বসে ধার কর্জ করতে করতে ঋণের বোঝা ভারি হওয়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে উপজেলা কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুল এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনাকালীন আমাদের ঘরভাড়া মওকুফসহ এসব স্কুলের নামে সহজ শর্তে কিছু ঋণের ব্যবস্থা করলে ভাল হতো। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে আমরা সরকারের নিকট জোরালো দাবি জানাচ্ছি।