বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা – করোনা ভাইরাস আতংকে লকডাউনে সারা দেশের মানুষ যখন ঘর বন্দি থেমে নেই তার সেবার প্রয়াস। সমাজের প্রতি নিজেকে দায়বদ্ধ ভেবে সকাল সন্ধ্যা ছুটে বেড়াচ্ছেন গরীব,দুঃখী,ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের মুখে একটু সুখের হাসি ফুটাতে। এছাড়াও করোনা সনাক্ত হওয়ার পরপরই নিজ উদ্দেগ্যে শুরু থেকেই জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ ,মাস্ক বিতরণ,জীবনুনাশক স্প্রে,বিভিন্ন রকম প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পাশপাশি বর্তমান পরিস্থিতে ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের খুজে খুজে প্রতিনিয়ত খাদ্য বিতরণ করছেন। করোনাযুদ্ধে রিক্সা-ভ্যান চালক, শ্রমিক,হোটেল শ্রমিক,দিনমজুর,প্রতিবন্ধী পরিবারে সাধ্য মতো সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়াও পথের হ্মুদার্ত কুকুরগুলোকেও নিয়মিত খাবার দিচ্ছেন তিনি। যেটা সমাজের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সু-দীর্ঘ ২০ বছরের বেশী সময় ধরে যেভাবে গরীব দুঃখী মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল আহমেদ বলেন, আমি বিশ্বাস করি মানবসেবাই পরমধর্ম জীবের সেবাই আল্লাহর সেবা একমাত্র তারই অপার করুণায় করতে পারছি সেবার প্রয়াস। আয়ের উৎস বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের একটি জুতোর দোকান আছে সেখানে থেকে যেটা আয় হয় তার লভ্যাংশ দিয়েই চলে নিজ পরিবার এবং সেবার প্রয়াস। তিনি আরোও বলেন অনেকের তুলনায় আমার সাধ্য অনেক কম তবুও যতটুকু পারা যায়, হয়তো এজন্য তাকে নিজের ভোগ বিলাসিতা বর্জন, অপচয়রোধ করে নিজের জন্য ব্যায় কম করে অর্থ বাচিয়ে তাদিয়েই চলছে তার সেবার মহান প্রয়াস। তার এই নিঃসার্থ সেবা সাধারন মানুষের মাঝে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার প্রতিক হয়ে দাড়িয়েছে।