বীরগঞ্জ সংবাদদাতা ॥ তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। গ্রামের লোকজন চলাচল করে। ওই রাস্তা দিয়ে কৃষকেরা মাঠ থেকে বাড়িতে ফসল আনেন। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে ঘুরেও ফল পাননি গ্রামবাসী। অবশেষ তাঁরা চাঁদা তুলে ও স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি সংস্কার করেছেন।
এ ঘটনা দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সুজালপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের। সেখানকার বাসিন্দারা ২০ জুন রবিবার থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন। ওই কাজ শেষ হতে আরও তিন-চার দিন লাগবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ইউনিয়নের মদনপুর বটগাছ থেকে মুড়িয়ালা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। ২১ জুন সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ১০-১৫ জন রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন। কেউ রাস্তার কাদা টেনে সেখানে ইটের টুকরা ফেলছেন। অনেকে সেই ইটের টুকরা গুলো হাতুড়ির আঘাতে ভেঙ্গে সমান করছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন রাস্তাটিতে সরকারিভাবে কোনো সংস্কারের কাজ করা হয়নি। বিভিন্ন স্থানে মাটি ধসে রাস্তা ভেঙে গেছে। বৃষ্টি হলে সেখানে পানি জমে। চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার কৃষকেরা। তাঁরা মাঠের ফসল ওই রাস্তা দিয়ে ঘরে তুলতে পারছেন না। তাই নিজ উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। রবিবার থেকে ১০-১৫ জন রাস্তা সংস্কারে কাজ করছেন। এ কাজ শেষ হতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগতে পারে।
এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ অনেকের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নেননি। তাই নিজেরাই উদ্যোগটা নিয়েছি।
রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নিপেন চন্দ্র রায়, রাকেশ রায়, দিলীপ চন্দ্র রায় ও মাধব চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ অনেকের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নেননি। তাই নিজেরাই উদ্যোগটা নিয়েছি। গ্রামের সবাই সাধ্যমতো চাঁদা দিয়েছেন। প্রায় ১০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে কাজ শুরু করা হচ্ছে। এ ছাড়া সবাই শ্রম দিয়ে সংস্কার কাজে অংশ নিয়েছেন।
সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহেশ চন্দ্র রায় বলেন, সীমিত বরাদ্দ থাকায় এ রাস্তার সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে সংস্কারের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।