দিনাজপুর বার্তা২৪.কম :- বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান আনন্দে ভাসছেন। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া তার অভিনীত ‘মিশন মঙ্গল’ ধুন্ধমার ব্যবসা করায় বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। এরইমধ্যে খবর এসেছে বহুল আলোচিত ‘শকুন্তলা দেবী’র শুটিং শুরু হচ্ছে আগামি মাস থেকেই। গত বছর ডিসেম্বরে চুক্তি হওয়ার পর থেকেই ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন বিদ্যা। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন তিনি। এটি পরিচালনা করবেন আনু মেনন। প্রযোজনা করবেন রনিস্ক্রিওয়ালা। ভারতের ‘মানব কম্পিউটার’ হিসেবে পরিচিত শকুন্তলা দেবী। অসাধারণ গণনা ক্ষমতার কারণে তিনি ১৯৮২ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়েছেন। এ রকম একটা চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নতুন করে দ্যুতি ছড়াতে চাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। মূলত ‘ডার্টি পিকচার’ ছবির পর থেকেই নারীপ্রধান ছবিগুলোতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে আসছেন বিদ্যা। ‘শকুন্তলা দেবী’র পর ইন্ধিরা গান্ধী নিয়ে নির্মিতব্য ওয়েব সিরিজেও নাম ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। সবমিলিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন এই তারকা। কথা ছিল ইন্দিরা গান্ধীর জীবন কাহিনি আনবেন বড়পর্দায়। কিন্তু তারপর সিদ্ধান্ত বদল করে ওয়েব সিরিজে আনার পরিকল্পনা কেন? জবাবে বিদ্যা বলেছেন, ‘আসলে, রিসার্চ ওয়ার্কের পর বিষয়টা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে শুধু একটা ছবির মধ্যে দিয়ে এই জীবনকে বড়পর্দায় আনা সম্ভব ছিল না। তাই আমরা এটাকে ওয়েব সিরিজে পরিবর্তন করার কথা ভাবলাম। তবে ঠিক ক’টা পর্বে এই ওয়েব সিরিজ আসবে তা এখনও ঠিক হয়নি। আমরা একটা টিম তৈরি করেছি, তারাই এই বিষয়টা দেখছেন।’ তিনি আরও বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করার স্বপ্ন আমার অনেক দিনের। গত প্রায় দু’বছর ধরে এই চরিত্রটা নিয়ে ভাবছি। আমার মনে হয়, ইন্দিরা গান্ধী আমাদের দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রধান মন্ত্রী। জীবনের উত্থান-পতনগুলোকে তিনি যেভাবে ‘ওভারকাম’ করেছেন তা তো ইতিহাস। তাছাড়া তার জন্যই একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। ১৯৭৫-এ জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তিনি। সেখানে তাকে বিভিন্নভাবে সমালোচিত হতে হয়েছিল। বিদেশি আক্রমণও ঠেকিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে এ রকম একটা শক্তিশালী নারী চরিত্রে অভিনয় করার লোভ সামলানো যায়নি। তবে এই প্রজেক্টকে সফল করার জন্য এগিয়ে এসেছেন রনিস্ক্রিওয়ালা। তিনিই এই ওয়েব সিরিজের প্রযোজক। বিদ্যা জানান, আগামি বছরই তেলেগু একটি ছবিতে অভিনয় করব। এর আগে হিন্দিতে অভিনয় করেছি, বাংলাতেও অভিনয় করেছি, আবার একটা মালায়ালাম ছবিতেও অভিনয় করেছি। কিন্তু তেলুগু ছবিতে কখনও অভিনয় করিনি। এই প্রথম নিজের মাতৃভাষায় অভিনয় করতে পেরে ভালো লাগছে।