দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ॥ ২ জন ছাত্রীকে হয়রানী, মানষিক নির্যাতন ও অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে মানববন্ধন ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে সাধারন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইংরেজী শিক্ষক দীপক কুমার সরকার এর বহিস্কারসহ শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়ে প্রতিবাদ এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। অভিযুক্ত শিক্ষককে রক্ষার জন্য প্রশাসনের এ নিরবতা যা কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্মান এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত রক্ষার জন্য তাদের এ আন্দোলন।
উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টম্বরে ইংরেজী বিভাগের লেভেল-৩ এর ছাত্রীরা ইংরেজী শিক্ষক দীপক কুমার সরকার এর বিরুদ্ধে হয়রানী, মানষিক নির্যাতন ও অনৈতিক কাজে বাধ্য করার লিখিত অভিযোগ করে। ২০১৬ সালের ২২ ও ২৪ সেপ্টেম্বরে লিখিত অভিযোগের পর বিভাগীয় প্রধান ডীন ড, ফাহিমা খানম ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পাঠান।
অভিযোগ তদন্ত এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ সোস্যাল সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের ডীন ড, ফাহিমা খানমকে চেয়ারম্যান এবং সহকারী প্রফেসর শফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। এবং ৭ কার্য দিবসের মধ্যে রিপোট প্রদানের জন্য বলা হয়। কমিটির অন্যান্ন সদস্যরা ছিলেন, প্রফেসর ড, বলরাম রায়, প্রফেসর ড, এটিএম শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড, হারনুর রশিদ। তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষক্ষের কাছে জমা দেন।
তদন্তে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও দীর্ঘ ৩ মাসে প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।