পলিটেকনিক প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর পলিটেকনি ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ মোসলিম উদ্দিন এর নামে সার্চ নিউজ এ মোঃ রাব্বী চৌধুরীর মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে অত্র ইন্সটিটিউট এর শিক্ষার্থীবৃন্দ।
তারা সার্চ নিউজের উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে দিনাজপুর পলিটেকনিকট ইন্সটিটিউট এর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা ১৭ নভেম্বর বিকাল ৫ ঘটিকায় ক্লাশ শেষে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। উক্ত কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, আমাদের ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোসলিম উদ্নি আহম্মেদ এর নামে যে সংবাদ প্রচারণা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অধ্যক্ষ স্যার ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে যথেষ্ট আন্তরিক। তিনি নিয়মিত আমাদের পড়ালেখার মান ক্লাশে গিয়ে তদারকি করেন। বরং যিনি এই ভূয়া সংবাদ প্রচার করেছেন সার্চ নিউজের সেই রাব্বী চৌধুরীর সাংবাদিকতা করার কোন যোগ্যতা আছে কি না আমাদের যানা নেই। কারণ আমরা অত্যন্ত লজ্জার সাথে জানাচ্ছি যে সাংবাদিক রাব্বী আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন ছাত্র আর অধ্যক্ষ স্যার তাহারও শিক্ষক ছিলেন, একজন প্রক্তন ছাত্র কিভাবে অবিভাবক তুল্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে এহেন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করতে পারে ?
তার ফেভারিট আইসিটির নামে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট এর একটি ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের মান সম্পন্ন ট্রেনিং দেয়া হয় না। অথচ সে অর্থ লাভের আশায় তার প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং নেবার জন্য ছাত্র ও শিক্ষাকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে থাকে।
অভিযোগ রয়েছে আমাদের ইন্সটিটিউটে রাব্বী চৌধুরী ছাত্র থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ছাত্র ও সিনিয়র শিক্ষকদের নামে ভূয়া নিউজ করবে বলে ভয় দেখিয়ে অনেক অর্থ চাঁদাবাজি করেছেন।
এসময় সাংবাদিকবৃন্দ অত্র ইন্সটিটিউটের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগনেতৃবৃন্দ এর সাথে কথা বললে তার জানায়, রাব্বী চৌধুরী একজন চাঁদাবাজ, অত্র ইন্সটিটিউটের ছাত্র থাকা অবস্থায় সে একজন শিবির কর্মী ছিলেন। এখন ক্ষমতাশীন দলের বিভিন্ন নেতার পাশে তার সাংবাদিকতার সুবিধায় ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে ও তেলবাজি করে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করেন। বিভিন্ন সংগঠনের নামে টাকা নিয়ে টাকা মেরে খাওয়াই তার কাজ।
সাংবাদিকবৃন্দ অধ্যক্ষ স্যারের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সরকারী চাকুরীজীবি। সেহেতু কোন রাজনৈতিক দল করার প্রশ্নই আসেনা আমার। চাকুরীজীবনে একাধিক বার পদোন্নতির কারণে আমার বদলি হয়েছিল, অন্য কোন কারণ নেই। আমি যা কাজ করেছি সরকারী আইন,বিধি, নিষেধ মেনে সুষ্ঠভাবে করেছি এতে কোন সন্দেহ নেই। এই সকল মিথ্যা, বানোয়াট, ভূয়া নিউজ এর জন্য আমি কাউকে কোন অর্থ দিয়ে সহায়তা করতে আগ্রহী নই। আমি দিনাজপুর পলিটেকনি ইন্সটিটিউটের শুধু অধ্যক্ষ নই, এখানকার একজন সাবেক ছাত্র। অমি এই ইন্সটিটিউটকে ভালবাসি তাই সততার সাথে সরকারী নিয়ম মেনে এর উন্নতির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিব ইনশাআল্লাহ। আর মিথ্যা নিউজের জন্য প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
মানববন্ধন ও সকল কার্যক্রম শেষে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর শহীদ মিনার সংলগ্ন মাঠে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা রাব্বি চৌধুরীর ছবিতে জুতার মালা দিয়ে তার ছাবিতে আগুন দেয়।
