![](https://i0.wp.com/dinajpurbarta24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?ssl=1)
নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি, অপপ্রচার ও মিথ্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, এবারের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে কোন প্রকার এলাকাপ্রাীতি, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়নি। তবুও প্রশাসনের বিরুদ্ধে এক শ্রেণির লোক মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যারা এই মিথ্যাচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিঘœ ঘটাচ্ছেন তাদের সময়ই নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষি বিভাগের ছাত্র রিয়াদ খান বলেন, ‘২০১৭ সালে প্রফেসর রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের মিটিং এ তাঁরই মদদপুষ্ট কিছু উশৃঙ্খল কর্মকর্তা ও কর্মচারী সম্মানিত শিক্ষকগণকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এর পরেই শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারীরা বিভক্ত হয়ে পড়ে।
মানববন্ধনে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ধনেশ চন্দ্র পাল বলেন, ‘২০১৭ সালে সাবেক ভিসি প্রফেসর রুহুল আমিন এর কক্ষে নীতি বিবর্জিত শিক্ষক কয়েকজন ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। সে সময় বিষয়টি কিছু ছাত্রীর বক্তব্যসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় এবং লাঞ্চনার শিকার ছাত্রীরা দোষী শিক্ষকদের বিচার চেয়ে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দেয় এবং সেই পুরনো বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ কাটিং করে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা বলে বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে সেগুলো প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য অনুপ্রবেশকারী কিছু সংখ্যক নামধারী প্রগতিশীল জামাত-বিএনপি থেকে আগত শিক্ষক ভিত্তিহীন তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাসহ ব্যবহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ।
সাধারণ ছাত্ররা মানববন্ধনে বলেন, কিছুদিন আগে হাবিপ্রবির একটি শিক্ষক সংগঠনের নেতারা বিরুদ্ধে জামাত-বিএনপি ও ইসলামী ছাত্র শিবিরকে পৃষ্ঠপোষকতা করে এমন অভিযোগ গণমাধ্যমে আসে। মূলত এসব জামাত বিএনপি সমর্থিত নব্য আওয়ামী লীগাররা বর্তমান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে মিথ্যাচার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট করাসহ শিক্ষক এবং প্রশাসনকে চাপে ফেলার পায়তারা করছেন। আমরা অতীতে দেখেছি, কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব্বোচ্চ পদে থেকে নিয়ম-নীতি’র তোয়াক্কা না করে বেসরকারী মেডিকেল থেকে পাশ করেও মেডিকেল অফিসার পদে নিজের পুত্র ও পুত্রবধুকে নিয়োগ দিয়েছে তারা। এসব জামাত বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকদের দ্রæত বিচারের আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. ফজলুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম করার জন্য একটা শ্রেণি উঠে পড়ে লেগেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে অতিষ্ঠ হয়ে মানববন্ধন করেছে। আমরাও চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সুন্দর পরিবেশ। যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্ঘিগ্নে পড়ালেখা করবে। একটা শ্রেণি যেসব অভিযোগ করছে সেগুলোর প্রমাণ দিতে পারলে আমরা দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে বক্তব্য রাখেন মোর্শেদুল আলম রনি, ইলিয়াস দেওয়ান, সাজেদুর রহমান সৈকত, সাহাদত হোসেনসহ প্রমুখ।