
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নীলফামারী সদরের যাদুরহাট এলাকার আবুল কাশেম চৌধুরীর পুত্র সিরাজ উদ দ্দৌলা চৌধুরী।
২৬ জুন শনিবার বিকেল ৫টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পরিবারের প্রতিপক্ষের লোকজন গত কয়েকদিন যাবত উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নীলফামারীতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক যাদুরহাট শাখার ভবনের জমি নিয়ে বিভিন্নরকম মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় ভিত্তিহীন, জাল, বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে। যা আমার ও আমার পরিবারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এই সংবাদগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।
সেই সাথে সত্য প্রকাশের স্বার্থে বলছি, জমির প্রকৃত মালিক আমার পিতা বিশিষ্ট জমিদাতা ও সমাজসেবক আবুল কাশেম চৌধুরী। তিনি বলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক যাদুরহাট শাখা ভবনে উল্লেখিত জমির মৌজা-বেরাডাঙ্গা, জেএল নং ৯৯, খতিয়ান ১৫৭, দাগ নং-৯২০৬ থেকে ০৫ শতাংশ, ৯২০২ দাগ থেকে ৪০ শতাংশ, মোট ৪৫ শতাংশ জমি ১৪নং চাপড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ১৯৮৪ সালে জনস্বার্থে দান করেন। উক্ত দাগ খতিয়ানের অবশিষ্ট ২৪ শতাংশ জমির মুল দাগে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ভবন-এ কাশের ওয়্যার হাউজসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ১৯৮৪ সাল হতেই রয়েছে।
তিনি বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছেন যে, রাকাব যাদুরহাট শাখাটি উদ্যোক্তা ভবন মালিক আবুল কাশেম চৌধুরীর ৯২০৬ মুলদাগে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই স্থাপিত হয়ে শাখাটি লাভজনকভাবে জনস্বার্থে চলে আসছে। তিনি উল্লেখিত জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে সিএস, আরএস, বিএস মুলে ভোগ দখল করছে। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এই জমিগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সময় সমাজসেবার উদ্দেশ্যে সরকারি- বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জমি দান করে দানশীল ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। প্রতিহিংসা পরায়ণ, স্বার্থন্বেষী মহল ঈষান্বিত হয়ে তার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্যে জমিগুলোকে খাস খতিয়ান হিসেবে উল্লেখ করে মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করেছে।
আমি ও আমরা ওই স্বার্থন্বেষী মহলকে রূখে দিতে আইনি সকল ধরণের সহায়তা পেতে ইতিপূর্বেই আদালতে মামলা দায়ের করেছি। যা বর্তমানে বিচারাধীন, আমরা মাননীয় আদালতে শ্রদ্ধাশীল হয়ে সঠিক বিচারপ্রাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছি।