
স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সাশ্রয়ী মূল্যে সারা দেশে তিনটি পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে এসব পণ্য বিক্রি শুরু হওয়ার সরকারি ঘোষনা থাকলেও দিনাজপুরে কোথাও টিসিবির পণ্য বিক্রি হয়নি।
টিসিবি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি ট্রাকে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ কেজি চিনি, ৩০০ থেকে ৬০০ কেজি ডাল ও ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। দেশব্যাপী ৪০০ ট্রাকে আগামী ২৯জুলাই পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। তবে সারাদেশে শুরু হলেও বঞ্ছিত হয়েছে দিনাজপুরের গরীব, দুঃখী ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। সোমবার দিনাজপুরে কোথাও টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হয়নি। জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে চিনির পাশাপাশি মশুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি করছে টিসিবি। প্রতিকেজি চিনি ৫৫ টাকা, যা একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ চার কেজি কিনতে পারবেন। এছাড়া প্রতিকেজি মশুর ডাল পাওয়া যাবে ৫৫ টাকায়, যা একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি কিনতে পারবেন। সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটারে একজন ক্রেতা দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লিটার নিতে পারবেন। তবে সারাদেশে বিক্রি শুরু হলেও সোমবার দিনাজপুরে টিসিবির কোন পণ্য বিক্রয় করতে দেখা যায়নি। এব্যাপারে দিনাজপুরে টিসিবির ডিলার কানাই লাল গুপ্ত জানান, দিনাজপুরে গতকাল সোমবার টিসিবির পণ্য বিক্রি হয়নি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একদিন আগে ডিও নিতে হয়, তিনি আগে যাননি, ব্যাংক বন্ধ থাকায় ডিও নিতে পারেননি বলে সোমবার বিক্রি শুরু করতে পারেননি বলে জানান। তবে, সোমবার রংপুরে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান। সেইসঙ্গে জানান আজ মঙ্গলবার রংপুর যাবেন, রংপুরে ডিও জমা দিয়ে মালামাল তোলার ব্যবস্থা করে আজ থেকেই টিবিসির পণ্য দেওয়া শুরু হবে। তবে কখন শুরু হবে এসময় তিনি জানাতে ব্যর্থ হন। এব্যাপারে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী জানান, তিনি এব্যাপারে খবর নিয়ে দ্রুত পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। ট্রাকসেলে টিবিসির এই কার্যক্রম ২৯ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সরকারিভাবে ঘোষনা দেওয়া হয়। অতএব একদিন পিছিয়ে বিতরণ মানেই টিবিসির সামগ্রী থেকে প্রথম দিনেই জেলাবাসী বঞ্চিত হওয়া।