এনটিএস শুভ, ষ্টাফ রিপোর্টার বিজয় টিভি–
মানুষজাতি সৃষ্টির সেরা জীব। পৃথিবীতে যত প্রাণীকুল আছে তার মধ্যে মহান সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় একমাত্র মানুষ জাতিই পেয়েছে শ্রেষ্ঠত্বের এই স্বীকৃতি। সৃষ্ট্রির সেরা জীব হয়ে সমস্ত পৃথীবি বাসীর জন্য মঙ্গল কামনা করাআমাদের একান্ত নৈতিককর্তব্য। কিন্তু আমরা কি আদৌ পেরেছি আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে? যদিও পৃথীবিবাসী জ্ঞানের পরিচর্যায় জীবনকে শান্তিময় এবং গতিময় করতে কত কিছুই না আবিষ্কার করেছে ইতিমধ্যে। দলে- দলে, জাতিতে -জাতিতে, দেশে-দেশে, বিভিন্ন কারনে আমরা আজ মতপার্থক্যতে বিভক্ত। পরস্পর সহিংসমূলক আচরন পরিবেষ্টিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষ ভাবনায় বিভক্ত হওয়ার কারনে প্রতিটা মুহুর্তে হ্রদয়ের মাঝে হচ্ছে ক্ষত বিক্ষত। কোন পক্ষেরই স্বাগতম দার নাই উন্মুক্ত, শয়তানের চক্রান্তে মানুষই মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে পড়েছে। তাই পর্যবেক্ষণে দেখা যায় সুন্দরতম এই দুনিয়ায় সুন্দরভাবে বসবাসের পরিবর্তে আমরা মানুষ জাতি নিজেরাই নিজেদেরকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে সুন্দর এই আবাস স্থলকে বানিয়েছি বসবাসের অনুপযোগী একটা জায়গা। আর অনুপযোগী জায়গাকেই বসাবাসের উপযোগী করতে যুগে যুগে আর্বিভাব ঘটেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, লাভজনক, অলাভজনক, পেশাজীবি, শ্রমজীবি কিংবা সেচ্ছাসেবী সংগঠনের। কিন্তু আদৌ কি এই ধরনের সংগঠনগুলো পেরেছে তাদের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেকে বাস্তবায়ন করে পৃথীবি ব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে, পেরেছে কি হিংসা পরিহার করে পৃথীবির সকল মানুষকে একই কাতারে দাড় করাতে? আজ এটি একটি সময়ের প্রশ্ন? যুগের চাহিদা অনুযায়ী বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জনগনের চাহিদাকে পুরন করতে নতুনভাবে উদ্ভাবিত হয়েছে ”বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ”, ওয়ার্ল্ড ফেন্ড সোসাইটি”, এবং ”বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়ন পরিষদ” নামের তিনটি সংগঠন। ঘুঁনে ধরা সমাজের প্রতিদন্দ্বী এই মানুষগুলোকে যদি বন্ধুত্বের একটি নির্দিষ্ট বলয়ে আবদ্ধ করা যায় তবে নতুনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে যে নতুনত্বের জয়গানের মাধ্যমে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ হয়ে উঠবে একটি মডেল রাষ্ট্র। শধু বাংলাদেশই নয় এই বন্ধুত্বের বলয়ে যদি পুরো পৃথিবীকে একত্রিত করা যায় তবে পৃথীবি হয়ে উঠবে একটি স্বাধীন, মুক্তও বন্ধুত্ব ভাবাপন্ন জায়গা যেখানে সকলেই বসবাস করবে সর্ব্বোচ্চ আধুনিক সুযোগ সুবিধায়। এ লক্ষকে সামনে রেখেই কাজ করে যাছে সংগঠনতিনটি। ইতোমধ্যে উপজেলা জেলা ও বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সহ পৃথীবির বিভিন্ন দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ”বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের”সভাপতি এফ আহমেদ খান রাজীব ওয়ার্ল্ড ফেন্ড সোসাইটি”, এবং ”বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়ন পরিষদ” এর কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছেন। সংগঠন ত্রয়ের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সহ অন্যান্য বিষয়ে তিনি বলেন, বন্ধুত্বের বিষয়টিকে শুধু মাত্র গুটি কয়েক ব্যাক্তির মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে বন্ধুত্বের এ বলয়টিকে পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীর সকল মানুষের মাঝে হিংসা বিদ্বেষ ভূলে দেশের উন্নয়নে ভুমিকা পালন করাই সংগঠন ত্রয়ের মুল উদ্দেশ্য। সংগঠনত্রয়সম্পূর্ন্ন অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হয় যা নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি ও কালচারের আলোকে উদাযাপিত হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে নতুন উদ্দ্যমে ২৩ শে নভেম্বরকে বিশ্ব” হিংসা মুক্ত সম্প্রীতি দিবস” পালনের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছি এবং তিনি জবাবও দিয়েছেন।এর মাধ্যমে পৃথিবীর সকল দেশের সকল ধর্ম বর্ণ গোত্রের মানুষেরা অন্তত বছরে এক দিনের জন্য হলেও দুঃক যাতনা হিংসা ক্রোধ ভুলে একটিত্র হয়ে একটি হিংসাম সমাজ গঠনের জন্য শপথ গ্রহন করহে পারে। আমরা খুব শীঘ্রই বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আড়ম্বরপূর্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগঠনত্রয়ের শূভ সূচনা ঘোষনা করব।