নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :- দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় এ পর্যন্ত ৮টি ইউনিয়নে প্রকাশ্যে ব্যাপক গণপ্রচারের মাধ্যমে স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উপস্থিতিতে ভোটার আইডি’র বয়স অনুযায়ী সরকারি ভাতাভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবি মানুষের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভাতার কার্ড নেয়ার জন্য আসা ব্যক্তিরা জানান এ পদ্ধতি আগেই যদি অনুসরণ করা হত তাহলে, টাকার বিনিময়ে বিধি বিধান লংঘন করে কার্ড বাণিজ্য হত না। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, অসহায় নারী-পুরুষ লাইনবদ্ধ হয়ে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ভীড় জমাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে হয়ত ভোট কেন্দ্র। কিন্তু না, এ লম্বা লাইন হচ্ছে অসহায় মানুষদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবার দাবী। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাঃসম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান জানান, সরকারের প্রতিটি সেবা জনগণ পাবে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম দুর্নীতি মেনে নেয়া হবে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার সাংবাদিকদের জানান, সরকারি সেবা দেয়ার শপথ নিয়ে এসেছি। নিজে অন্যায় দুর্নীতি করব না এবং কাউকে করতেও দিব না। নির্বাচন করতে গিয়ে বলেছেন, টাকার বিনিময়ে যদি কোন জনপ্রতিনিধি ভাতাভোগীদের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নেয় তথ্য ও প্রমাণ স্বাপেক্ষে অভিযোগ পেলে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হবে। দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক জানান, আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। প্রতিটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। সরকার ঘোষিত ভাতা যারা পাওয়ার উপযুক্ত তারাই পাবে। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদ্যান উপলক্ষ্যে তার নির্বাচিত আসনে ব্যাপক সরকারি সেবা উন্নয়ন ও মূলক কর্মকান্ড রেকর্ড পরিমাণ হতে চলেছে। তিনি আরও জানান বিগত সরকারের আমলে আমার নির্বাচনী এলাকায় চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন মূলক কাজ হয়নি। ৪ উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা নির্ণয় করে একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শুভ্র প্রকাশ জানান, ইউনিয়ন পরিষদে যাচা-বাছাই শেষে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীদের ভাতার কার্ড দেয়া হবে। এ পর্যন্ত ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।