ঢাকাশুক্রবার , ১০ জুলাই ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাহারোল
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খানসামা
  9. খেলা
  10. গাইবান্ধা
  11. ঘোড়াঘাট
  12. চাকরী বার্তা
  13. চিরিরবন্দর
  14. জাতীয়
  15. ঠাকুরগাঁও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করোনা কালীন সময়ে শিশু খাদ্য আজকের বিষয়ঃ শাকসবজী

মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
জুলাই ১০, ২০২০ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মশিউর রহমান :- 

সুস্থ ও সবলচিত্ত থাকতে শাকসবজি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। শাকসবজী বেশি করে খাওয়া সুস্বাস্থ্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।

পালংশাকঃ প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা কমায়।কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে। পালংশাকে প্রচুর ভিটামিন-এ বি সি ই থাকে। তাই চোখ ভাল রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

লালশাকঃভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ার চোখ ভাল রাখে।রক্তস্বল্পতা দুর করে।

কচু শাকঃ আয়রন ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হওয়ার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও রক্তস্বল্পতা কমায়।

টোমেটোঃ প্রবাদ আছে প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে রোগ বালাই কাছে আসতে পারে না। ভিটামিন-এ থাকায় দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখে।ভিটামিন-সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যালসিয়াম দাঁতের জন্য উপরকারী। থায়ামিন হার্টকে ভালো রাখে। আয়রন ও ম্যাংগানিজ আছে। সালাদ,ভর্তা ভাজি ও তরকারি হিসেবে খাওয়ার যায়।

গাজরঃ অত্যান্ত পুষ্টি গুন সমৃদ্ধ একটা খাদ্য।প্রচুর ক্যারোটিন ও ফসফরাস থাকায় মস্তিষ্ক ও হার্ট কে ভালো রাখে। হালুয়া পায়েস চপ ও বড়া হিসাবে খাওয়া যায়।

ফুল কপি ও বাধা কপিঃ মায়ের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন থাকায় কোলেস্টেরল কমায় ফলে হার্টকে সুস্থ রাখে। এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন দুর করে। বাধা কপি শিশু র রিকেট প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

আয়োডিন থাকায় গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ এ সাহায্য করে। ফুল কপি মাছের তরকারি, পোকড়া হিসাবে রান্না করে খাওয়া যায়। সিংড়া ফুলরি খুবই সুস্বাদু।

শিমঃশক্তিদায়ক একটা খাবার।শিমের বীচিতে প্রচুর ফাইবার ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

করোলাঃডায়াবেটিক রোগীদের মহা ঔষুধ। ক্ষিদা বাড়ায় ও কৃমি নাশক।ভিটামিন-এ সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও চোখ ভাল রাখে।

বেগুনঃ বাচ্চাদের ক্ষিদা বাড়ায়। আয়রন কার্বোহাইড্রেট ফ্যাট ও প্রোটিন আছে।

পটলঃহার্টের শক্তি বাড়ায়। কোলেস্টেরল কমায় ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে।

মুলাঃ ভিটামিন-এ বি সি ক্যালসিয়াম ফাইবার ও প্রচুর পানি আছে। রুচি বর্ধক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

লাউঃ ডালের সাথে রান্না করা যায়। পায়েস হালুয়া ও মোরাব্বা তৈরী করা যায়। এতে আছে ভিটামিন-সি বি আয়রন, চর্বি ও ফ্যাট। কোষ্টকাঠিন্য দুর করে।শরীর ও মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে।

মিষ্টি কুমড়াঃ প্রচুর ভিটামিন-এ থাকায় রাত কানা দুর করে।স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ সাহায্য করে।

ঢেড়সঃ আয়োডিন থাকায় গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও ভিটামিন-এ ক্যালসিয়াম ও আয়রন আছে।

কাচা কলাঃ এটা রোগীর পথ্য হিসেবে খাওয়া হয়।ডায়রিয়ায় ও আমাশয় ভালো কাজ করে।

আলুঃ এতে আছে ভিটামিন-এ সি,প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালসিয়াম।মাছ গোশত র তরকারী হিসাবে ব্যাবহার করা যায় এছাড়া ভর্তা, কাবাব ও চাটনি হিসাবেও সুস্বাদু।
 মশিউর রহমান
শিশু বিশেষজ্ঞ
রোজমুক্তি ক্লিনিক, গোলকুটি, দিনাজপুর
এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।