বিরামপুর সংবাদদাতা ॥ বিরামপুর উপজেলায় পবিত্র রমজান মাসে কাঁচাবাজারে সবজির দাম আগুন, প্রতিটি পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুন, এর মধ্যে আবার মহামারি করোনায় চলছে কঠোর লকডাউন।
গতকাল বুধবার এদিকে ২য় সপ্তাহের লকডাউনে জনজীবনে যখন নাভিঃশ্বাস তখন রমজানের শুরুতেই নিত্য পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া।
বিরামপুর পৌর শহরের নতুন বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী নুর ইসলাম বলেন, রোজা ও লকডাউনের কারণে জিনিসের দাম বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, রোজায় কিছু পন্যের চাহিদা বেশি। তারপর লকডাউনের কারণে পন্যের আমদানি কম, ফলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে মালামাল তাই বেশি দামে বিক্রি ছাড়া আমাদের উপায় নেই।
কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী নাজমুল বলেন, করোনার লকডাউন এর কারণে দাম বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পন্যের অস্বাভাবিক হারে এতে ক্রেতারা চরম দুর্ভোগে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, ৩০ টাকা কেজির শসা প্রায় ৪০ টাকা, ৪০ টাকার বেগুন ৫০ টাকা, ৩৮০ টাকার দেশী মুরগী ৪০০ টাকা, ৩০ টাকার সাজিনা ৪০ টাকা, ১০ টাকার পুই শাক ১৫ টাকা, ২০ টাকা হালির কলা ৩০ টাকা ও ৩০ টাকা হালির লেবু ৪০ টাকা। তবে পেঁপে ও ডাটার দাম স্বাভাবিক। এছাড়াও আদা, জিরা, পেঁয়াজ, রসুনসহ প্রায় প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশী। স্বাভাবিক দিনে যে মালামাল এক-দুই মণ বিক্রি করি। এখন দাম বেশি হওয়ার বিক্রির জন্য এনেছি মাত্র এক মণ। বেশি দাম হলে বিক্রি হয় কম। বেগুন, শসা, গাজর, টমেটো, লেবুর দামও বেড়েছে। পেঁপে আলু ছাড়া কোনো সবজিই এখন ৪০-৫০ টাকার নিচে নেই। পুরো রমজান মাস এই দামে কিনতে হতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে ক্রেতা-সাধারণ বলেন, দেশে কোনো আইন-কানুন নেই। কোন একটা ইস্যু হলে যে যার মতো দাম বাড়াচ্ছে, আর আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তা না হলে মাত্র দুই চার দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করেই দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযাগ করেন।