পার্বতীপুর সংবাদদাতা ॥ করোন ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় লকডাউনের শুরু থেকেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও মালামাল পরিবহনের জন্য চালু রাখা হয় মালবাহী ও পার্সেল ট্রেন। পার্সেল ট্রেন গুলোতে যাত্রী ও অবৈধ মালামাল পরিবহনের অভিযোগ উঠলে শুরু হয় অভিযান। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ মে বৃহস্পতিবার সকালে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনে অবস্থানরত পার্সেল ট্রেনে অভিযান চালায় পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ। এসময় ট্রেনের লাগেজ ভ্যান থেকে দুই শতাধিক যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পার্সেল ট্রেনের যাত্রীদের ভীড়ে জনশুণ্য জংশন মুহুর্তেই হয়ে উঠে জনবহুল। ঈদে ঘরমূখো মানুষের ঘরে ফেরার প্রচেষ্টা ক্ষণিকের জন্য হলেও ম্লান হয়ে যায়। অনেককেই এই পার্সেল ট্রেনে যাওয়ার জন্য ছুটাছুটি করতে দেখা যায়।
পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল্লাহ্্ আল-মামুন জানান, চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী পার্সেল ট্রেনে যাত্রী ও অবৈধ মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে এই ট্রেনের লাগেজ ভ্যান থেকে দুই শতাধিক যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, মালাবাহী ট্রেন থেকে গত সোমবার রাতে র্যাব নাটোর ক্যাম্পের একটি দল ২৮২ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ চারজন কে আটক করে। এদের মধ্যে দুজন রেলওয়ে কর্মচারী এবং তাদের কর্মস্থল পার্বতীপুরে। একজন রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের অন্যজন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।