কাহারোল সংবাদদাতা ॥ দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কেউ রাজাকারী করেছে এমন কোন ইতিহাস নেই। বরং প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রণাঙ্গনের সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। পর্যাক্রমে তাদের রক্ত সকল আন্দোলনকে সমৃদ্ধ করেছিল। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন হতে শুরু করে পাকিস্থান হটাও আন্দোলন পর্যন্ত আদিবাসীরা এই সংগ্রামকে পূর্ণাঙ্গতা প্রদান করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ভূমিকা জাতির কাছে অবশ্যই চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যুুগে যুগে আদিবাসীদের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণা যোগায়।
৩০ জুন বুধবার ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস উপলক্ষ্যে কাহারোল উপজেলার কান্তনগর মোড়ে অবস্থিত তেভাগা চত্বরে সিদু-কানুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন শেষে সাঁওতাল বিদ্রোহ ও তেভাগা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি গোপাল এসব কথা বলেন।
এমপি গোপাল আরও বলেন, ইতিহাস থেকে জানা যায়, আজ থেকে ১৬৫ বছর আগে ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের চার ভাই সিদু-কানুহু-চান্দ ও ভাইরবের নেতৃত্বে আদিবাসীরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষনা করেছিল। ওই যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সৈন্য ও তাদের দোসর অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর ও মহাজনদের অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা।
কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুল হাসান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার, কাহারোল থানার ওসি ফেরদৌস আলী, সুন্দরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিদুল ইসলাম, সাঁওতাল বিদ্রোহ ও তেভাগা আন্দোলন গবেষনা কেন্দ্রের সভাপতি নারায়ন মার্ডি ও সাধারণ সম্পাদক নাসারুল ইসলাম, কাহারোল উপজেলা আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবীন মার্ডি।
আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন সুন্দরপুর ইউনিয়ন আওয়ামালীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম।