বীরগঞ্জ সংবাদদাতা ॥ প্রযুক্তির উৎর্কষতায় ছোট হয়ে এসেছে পৃথিবি। নগরায়নের কারনে সংকুচিত হচ্ছে চাষ যোগ্য জমি। মানুষের প্রয়োজন ও শখ প্রতিনিয়ত খুজছে বিকল্প পথ। আগে চাষাবাদ এবং বিভিন্ন ফল ও ফুলের বাগান হতো মাটিতে। এখন মানুষের চাহিদা ও শখ পুরনের চেষ্টা চলছে সারাদেশের বড় বড় দালানের ছাদে।
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড নিবাসি নিত্যানন্দ সাহার একমাত্র ছেলে জয়নন্দ কলেজের সহকারী অধ্যাপক নীল রতন সাহা নিপু, বাসার ছাদে লেবু ও ফুলের চাষ করে সকলের নজর করেছেন ।
নিপু সাহা জানান, ছোট বেলা থেকেই ফুলের বাগানের প্রতি আমার দুর্বলতা ছিলো,সেই আগ্রহ থেকেই প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময় থেকে এখন পর্যন্ত আমার ফুল ও ফলের বাগান আছে । সেই অভিজ্ঞতা থেকেই লেবুর চারা লাগিয়েছি।
প্রথমে তিনটি সিমেন্টের বড় রিং কিনেছি তাতে গোবর সারের মাটি দিয়েছি তারপর নর্মাল মাটি দিয়ে ভরাট করে তাতে হালকা পানি দিয়ে রেখে দিয়েছি ,কয়েকদিন পর লেবুর চারা লাগিয়েছি। আমি অবসর সময় কাটাই আমার লেবু বাগানে।
আমার বাগানের লেবু গাছে এক বছর পর প্রথম কিছু লেবু ধরে, সেই লেবু আমি ছিড়ে ফেলেছি। পরের বছর থেকে প্রতিটি ডালে লেবু ধরেছে এখনো ধরছে।
এতো বেশী লেবু ধরে যে পাতা আর লেবু সমান,তাই আমি শখ করে নাম দিয়েছি হাজারি লেবু গাছ। আমি যদি লেবু বিক্রি করে টাকা আয় করার চেষ্টা করতাম, তাহলে অনেক টাকা আয় করতে পারতাম। আমি শখের বসে করেছি তাই আত্নিয় -স্বজন,বন্ধু-বান্ধব, পাড়াপ্রতিবেশী সবাইকে বিলিয়ে দেই।
নিপু সাহা আরো জানান,অনেকে বাগান আর লেবু দেখে আমার কাছে জানতে চায় কি ভাবে কি করলেন বিস্তারিত বলেন,আমিও লেবু বাগান করবো। ৫নং ওয়ার্ড নিবাসি মোঃ মীর কাসেম লালু জানান, আমি লেবু খেয়েছি দেশি জাতের ছোট ছোট লেবু খুব রস।