স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ স্কাউটসের মাধ্যমে দিনাজপুরের জেলার পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেছে ডেটল-হারপিক। সম্প্রতি জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সম্মেলন কক্ষে এই সুরক্ষাসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে দেশজুড়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল। এ সময় প্রায় সবরকম পাঠদান অনলাইনে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সংক্রমণের হার তুলনামূলক কমে আসায় সরকার সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায়, সর্বত্র সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি এই উদ্যোগে কাজ করছে ডেটল-হারপিক।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্কাউটস দিনাজপুর অঞ্চলের কমিশনার এবং দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো: আখতারুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষার সচিব (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) প্রফেসর মো: জহির উদ্দিন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কাউটস দিনাজপুর অঞ্চলের সম্পাদক মো: আবু সাঈদ; আঞ্চলিক উপ-কমিশনার (সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) মো: আরিফ হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ স্কাউটস দিনাজপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো: আব্দুর রশিদ, বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় নির্বাহী কমিটি’র সদস্য মো: লোকমান হাকিম, রেকিট বাংলাদেশের প্রতিনিধি মো: হাসনাইনসহ স্কাউট ইউনিটের অন্যান্য স্কাউট ও স্কাউটারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দিনাজপুর অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষার সচিব (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) প্রফেসর মো: জহির উদ্দিন বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি যে করোনাকালে বাংলাদেশ স্কাউটসের কাজের প্রাসঙ্গিকতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সময়ের জন্য স্কাউটসের আদর্শ যথেষ্ট উপযোগী এবং সামগ্রিক অবস্থায় লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আনতে সক্ষম।” তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের কাজে ডেটল-হারপিকের অবদান অনস্বীকার্য। তাই তাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ স্কাউটস দিনাজপুরের কমিশনার এবং রংপুর অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার উপ-পরিচালক মো: আখতারুজ্জামান বলেন, “দেশ ও জাতির কল্যাণে বাংলাদেশ স্কাউটস সদা সচেষ্ট। তবে এই মুহূর্তে সমাজকল্যাণের যে সুযোগ আমরা পেয়েছি তা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক ভিন্ন। সামাজিক কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগে রেকিট বাংলাদেশকে আমরা সর্বদা পাশে পেয়েছি এবং ভবিষ্যতেও রেকিটের সহযোগিতায় অসংখ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।”
রেকিট বাংলাদেশের প্রতিনিধি মো: হাসনাইন বলেন, “দীর্ঘ দেড় বছর বিরতির পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গনে ফিরলেও করোনার প্রভাব এখনও সম্পূর্ণরূপে কাটেনি। তাই চলমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্র্যাক ও স্কাউটসের মাধ্যমে দেশের দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা হাইজেন পণ্য বিতরণ করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দিনাজপুর জেলার পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।”