পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, আওয়ামীলীগের নেতারা কখনো লুটপাট করে না। যারা বলে আওয়ামীলীগ নেতারা লুটপাট করছে তাদের পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সদ্য প্রয়াত সহ সভাপতি রবি মাহমুদের বাড়িতে এনে দেখানো উচিৎ। রবি মাহমুদ দারিদ্রতাকে সঙ্গে নিয়েই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশ ও দলের জন্য কাজ করে গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সড়ক দূর্ঘটনায় সদ্য প্রয়াত পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রবি মাহমুদের বাড়িতে তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে এসে এসব কথা বলেন ।
তিনি বলেন, রবি মাহমুদ ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ দেশপ্রেমিক রাজনীতিক। আওয়ামীলীগ নেতারা যে কতটা ত্যাগ স্বীকার করে রাজনীতি করেন রবি মাহমুদ হচ্ছে তার উদাহরণ।
খালেদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, রবি মাহমুদের মৃত্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন, আমিও এসেছি তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এবং খোজ-খবর নিতে। আমরা দোয়া করি তার রেখে যাওয়া দুটি সন্তান যেন তারই মত দেশপ্রেমিক ভাল মানুষ হতে পারে।
পরে তিনি রবি মাহমুদের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ আরা স্বপ্না, দুই ছেলেকে সান্তনা দেন এবং ভবিষ্যতে দলীয়ভাবে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত স¤্রাট, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম সহ জেলা আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের হেলিপোর্ট এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রবি মাহমুদ (৬০) নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত অপর সহ সভাপতি খবির উদ্দীন আহামেদ ঢাকার একটি বে-সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মৃত্যুকালে রবি মাহমুদ স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে রাজিব রহমান ড্যাফোডিল ইউনির্ভাসিটিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ছোট ছেলে রাফিদ রহমান পঞ্চগড় বিপি সরকাকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।