
দিনাজপুর বার্তা২৪.কম :- দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রবিউল ইসলাম।
রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি ইমাম জাফর। তিনি বলেন, আসামি নিজে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করার সম্মতি জানায়, তাই় তারা সকাল দশটায় রবিউলকে আদালতে নিয়ে আসেন। পরে আবেদনসহ তাকে দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে নিয়ে় যাওয়া হয। ওসি ইমাম জাফর বলেন, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছেন, এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী তিনি নিজেই। আক্রোশ থেকে এই ঘটনা ঘটিয়়েছেন। রবিউলের দেওয়়া তথ্যমতে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপ সহ মোবাইলের লোকেশন বিষয়গুলো আলামত হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসব আলামত বিচারকার্যে সহায়ক হবে বলে জানিয়ে়ছে পুলিশ।
গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রযুক্তির মাধ্যমে রবিউলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করেন তিনি। গত ১২ তারিখে এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল দায় স্বীকার করে জানিয়েছেন এ ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং একমাত্র হামলাকারী তিনি নিজে। রবিউলকে ওই দিনই আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। আদালতের বিচারক তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন থেকেই রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। ওই দিনই তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ, পরে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়।