
বিরামপুর সংবাদদাতা ॥ বিরামপুর থানা পুলিশ গভীর রাতে এক নারীকে উদ্ধার করে ৫ জুন শনিবার মায়ের নিকট হস্তান্তর ও এক শিশুকে উদ্ধার করে শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে মানবিকতার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে ২৫ বছর বয়সী এক নারী আশ্রয়ের জন্য উ™£ান্তের মতো শহরের পল্লবী এলাকায় ঘুরাফিরা করছিল। থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মতিয়ার রহমান তাৎক্ষনিক সেখানে গিয়ে থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেক্সের নারী পুলিশ দ্বারা নারীকে থানায় নিয়ে যান। যশোর কোতয়ালী এলাকার বিপ্লব হোসেনের মেয়ে ঐ নারী ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মতিয়ার রহমানকে জানান, তিনি এক বান্ধবির আমন্ত্রণে যশোর থেকে রাতে বিরামপুরে আসেন। কিন্তু কথিত সেই বান্ধবি মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখলে আগত এই নারী বিপাকে পড়েন। নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে তিনি আবাসিক হোটেলের সন্ধানে ঘোরাফিরা করছিলেন। এসময় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরিবারে সংবাদ দিলে শনিবার ঐ নারীর মাতা থানায় আসেন এবং ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মতিয়ার রহমান নারীকে তার মায়ের হাতে তুলে দেন। এসময় আবেগে আপ্লুত মাতা মিনা বেগম বলেন, পুলিশ গভীর রাতে তার মেয়েকে উদ্ধার করে আশ্রয় না দিলে অচেনা জায়গায় অঘটন ঘটে যেত। তিনি করজোড়ে বিরামপুর পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
এ ঘটনার দু’দিন আগে থানা পুলিশ বিরামপুর রেল স্টেশন থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করে রংপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল থানার রাইটনগর গ্রামের মৃতঃ জাবেদ আলীর পুত্র আরিফ (৮) পথ ভূলে বিরামপুর এসে বিপাকে পড়লে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।