স্টাফ রিপোর্টার ॥ পার্বতীপুর উপজেলার পল্লীতে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত হয়েছে। এই সন্ত্রাসী ঘটনায় দিনাজপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ইউনিট কমান্ড নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে
জানা যায়, গত সোমবার সকালে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ৪নং পলাশবাড়ী ইউপি’র কালিকাপুর বড়পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সরকার, তার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা, পুত্র ফরিজার রহমান, মুক্তিযোদ্ধার পুত্র বধু ফাতেমা খাতুন ধান মাড়াই করার জন্য মেশিন নিয়ে যাওয়ার পথে একই গ্রামের মৃত মরছালিন সরকারের পুত্র রায়হান আলী সরকার, তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম, কন্যা রিপা আক্তার শোভা, পুত্র ইমরান কায়েস শুভ, মৃত মরছালিন সরকারের আরেক পুত্র মতিন সরকার, তার ছেলে হিটলার, স্ত্রী হনুফা বেগম, মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে মশিউর রহমানসহ অজ্ঞাত অনেকেই যৌথ ভাবে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র, লাঠি সোঠা নিয়ে সজ্জিত হয়ে তাদের উপর আকস্মিক হামলা করে গুরুতর আহত করে। এ সময় তাদের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে পার্বতীপুর হলদিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সরকার ও তার পুত্রবধু ফাতেমা খাতুন হলদিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন এবং মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা, পুত্র ফরিজার রহমান গোলাপ গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফরিজার রহমান গোলাপ জানান, এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে পার্বতীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে। এ ঘটনায় দিনাজপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ইউনিট কমান্ডের সভাপতি আল মামুন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল ইসলাম বীরমুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।