পার্বতীপুর সংবাদদাতা ॥ দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত রেলওয়ের একমাত্র কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় (কেলোকা) প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল না থাকা সত্ত্বেও আউট টার্নে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা
ও কর্মকর্তা-র্কচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এই সফলতা অর্জিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, রেল ইঞ্জিনের খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরীসহ ইঞ্জিন মেরামতের জন্য স্থাপিত রেলওয়ের কেন্দ্রীয় এই কারখানাটিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী বরাদ্দ রয়েছে ৭১০ জন। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত রয়েছে মাত্র ২৭২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। স্বল্প সংখ্যক এই কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে কারখানটির আউট টার্ন ধরে রাখতে হচ্ছে। গতবছর এই কারখানা থেকে ১৬ টি রেল ইঞ্জিন প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে আউট টার্ন দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে আউট টার্ন দেওয়া হয়েছে ২১ টি। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে ৫ টি রেল ইঞ্জিন বেশী আউট টার্ন দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে এই কারখানায় ২১ টি রেল ইঞ্জিন আউট টার্ন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেই ২১ টি রেল ইঞ্জিন আউট টার্ন দেওয়া হয়েছে। আরো একটি রেল ইঞ্জিন আউট টার্ন দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। করোনার কারনে কাজের কিছুটা বিঘ্ন না হলে এই রেল ইঞ্জিনটির এতো দিনে আউট টার্ন দেওয়া যেত। নির্ধারিত জনবলের অর্ধেকেরও কম জনবল নিয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আউট টার্নের ক্ষেত্রে এই সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
পার্বতীপুর রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় চলতি সালের ১০ই জানুয়ারি প্রধান নির্বাহী (সিইএক্স) হিসেবে যোগদান করেন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে তাঁর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এই সফলতা অর্জিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পার্বতীপুর রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার প্রধান নির্বাহী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এই কারখানায় জনবল সংকট রয়েছে। তারপরেও কাজের গতি থেমে নেই। স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়েই অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আউট টার্ন অব্যাহত রয়েছে।