দিনাজপুর বার্তা২৪ ডেক্স // বিনোদন: স্পর্শিয়া গত কয়েক বছরে টিভি নাটক ও মডেলিংয়ে নিজের গ্ল্যামারাস উপস্থিতি ও সাবলীলতা দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন বেশ ভালোভাবে। শুধু এ দুই মাধ্যমেই নয়, কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেও প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও পাওয়া গেছে তাকে। তন্বী চেহারা, শারীরিক সৌন্দর্য, গ্ল্যামার, অভিনয় -সব মিলিয়ে প্যাকেজ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। মূলত টিভি পর্দায় ২০১১ সালে ‘অরুণোদয়ের তরুণ দল’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেছিলেন স্পর্শিয়া। এরপর ২০১৩ সালে ‘ইম্পসিবল-৫’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ভালো দর্শকপ্রিয়তা পান। এর বাইরে বিটিভিতে প্রচারিত নাটক ‘উজান গাঙ্গের নাইয়া’র মাধ্যমে নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে আরো একবার প্রমাণ করেন। এরপর অনেক নাটক, বিজ্ঞাপন ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তবে এ বছর এসে নয়া অধ্যায় শুরু করেছেন এ গ্ল্যামারাস কন্যা। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। ছবির নাম ‘বন্ধন’। পরিচালনা করছেন অনন্য মামুন। এরই মধ্যে এ ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন স্পর্শিয়া। প্রথমটির কাজ শুরু করতে না করতেই ‘কাঠবিড়ালি’ নামের আরো একটি অফট্র্যাকের ছবিতে অভিনয়ের বিষয়ও পাকাপাকি হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন মূলত চলচ্চিত্রেই মনোযোগী হয়েছেন স্পর্শিয়া। এ জায়গাটিতে কাজ করবেন বলে অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছেন এ পর্দাকন্যা। এখনো বিভিন্ন বিষয় রপ্ত করছেন প্রতিনিয়ত। প্রস্তুতির বিষয়ে স্পর্শিয়া বলেন, বড় পর্দা মানেই অনেক বড় জায়গা। এর জন্য যেটা যেটা প্রয়োজন তার সব প্রস্তুতিই নিচ্ছি আমি। এরই মধ্যে নাচের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছি। লুকেও খানিক পরিবর্তন এনেছি। ফিটনেসের প্রতি আরো বেশি জোর দিচ্ছি। আসলে যে দুটি ছবিতে অভিনয় করছি তার প্রথমটি অর্থাৎ ‘বন্ধন’ হচ্ছে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ছবি। আবার ‘কাঠবিড়ালি’ হলো অফট্র্যাকের ছবি। দু’টি ছবিতে ভিন্ন লুকে হাজির হতে হবে আমাকে। নিজেকে সেভাবেই এখন তৈরি করছি। ছোট পর্দা থকে বড় পর্দায় গিয়ে সফল হওয়ার উদাহরণ খুব কম। সেদিক থেকে আপনি কতটুকু আশাবাদী? স্পর্শিয়া বলেন, আমার কাছে কাজ করার সময় সব একই মনে হয়। শুধুমাত্র চরিত্রটিতে ঢুকে গিয়ে কাজ করবার চেষ্ট করি। তারপরও চলচ্চিত্র বড় মাধ্যম। এখানে ওভারঅল পারফরম্যান্স জরুরি। অভিনয়ের পাশাপাশি নাচ, ফিটনেস, অ্যাকশন এসবই দরকার। আমি দীর্ঘ সময় ধরে এ জায়গাগুলোতে নিজেকে তৈরি করেছি। কেউ টিভি থেকে এসে চলচ্চিত্রে সফলতা পেলো কি পেলো না সেটা নিয়ে আসলে ভাবছি না। ভাবছি কাজটা শতভাগ কিভাবে তুলে দিতে পারবো নির্মাতাকে সেটা নিয়েই।