দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। একই সঙ্গে দেখা দিচ্ছে করোনার নতুন উপসর্গও।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এসব উপসর্গ দেখা দিলে বিলম্ব না করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে তরুণ বয়সীদের প্রাধান্য না দেওয়ার কারণে নতুন করে তারা আক্রান্ত হচ্ছেন।’
চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যাদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ছে তাদের বেশিরভাগই নতুন উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জ¦রের কারণে তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছেন না। তবে জ¦র হলে করোনার ঝুঁকি নেই সে কথা বলা যায় না। দ্বিতীয় ঢেউয়ে যেসব নতুন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে সেসব হলো-
মুখে ব্যথা
করোনাভাইরাসসহ অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধির অন্যতম উপসর্গ হলো মুখে ব্যথা। চিকিৎসকরা মনে করেন, মুখের ভেতরের পেশী ও টিস্যুগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর মুখে ব্যথা বা জেরোস্টোমিয়া হয়। জ¦র, সর্দি-কাশিসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে এটি দেখা দেয়।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
জ¦র এবং সর্দি-কাশির স্থলে এখন নতুনভাবে দেখা দিচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। অধিকাংশ করোনা পজিটিভ রোগীর দেহে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। পেট ব্যথার কারণে এ সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে। পেটে ভীষণ যন্ত্রণা, হজমে সমস্যা ও ক্ষুধামন্দা দেখা দিলে এখনই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। কোনোভাবেই একে অবহেলা করা যাবে না।
নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৩ শতাংশ কোভিড পজিটিভ রোগীর নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং অনবরত বমি হওয়ার সমস্যা রয়েছে। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বমি হওয়ার সমস্যার সঙ্গে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যুক্ত রয়েছে। বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অথবা মানসিক অবসাদগ্রস্ততা থেকে নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যার সূত্রপাত।
ডায়রিয়া
অনেক করোনা রোগীর কেইস স্টাডিতে ডায়রিয়ার মতো উপসর্গও দেখা যায়। সবার ক্ষেত্রে এমনটি না ঘটলেও চিকিৎসকরা ডায়রিয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেন, যদি কারও ডায়রিয়া এবং করোনার অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে তাকে আইসোলেশনে রাখা সমীচীন।
মাথা ব্যথা
করোনার সবচেয়ে কঠিন উপসর্গ হলো মাথা, শরীর ও পেশীতে ব্যথা। নতুন করে যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগের মধ্যে এসব উপসর্গ দেখা গেছে। তাই মাথা ব্যথা দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।