দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ বাঙালির হাড়ের ব্যথাটা রীতিমতো মজ্জাগত। এর জন্য দায়ী আমাদের গতানুগতিক ডায়েট। কেবল মাছে-ভাতে হলে তো এখন চলে না। চাই সুষম ও বৈচিত্র্যে ভরা খাবার। হাড়ের বা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে তালিকায় এবার যোগ করুন নানা ধরনের বাদাম ও বীজ।
কাজু
কাজুবাদামে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক এবং ফোলেট। যা আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি খনিজগুলোর দুর্দান্ত উৎস। এগুলো মনোস্যাচুরেটেড ওলেইক অ্যাসিড এবং ওমেগা-৩ আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিডেরও (এএলএ) ভালো উৎস বলে হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো।
কাঠবাদাম
কাঠবাদাম মানেই স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের মিশ্রণ। এটি ভিটামিন-ই এরও ভাল উৎস। যাতে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এবং যার কল্যাণে ত্বক, চুল থেকে শুরু করে নখ ও রোগ প্রতিরোধেও দারুণ কাজ করে। কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়াই উত্তম। এ ছাড়া সালাদ বা স্মুদিতেও কাঠবাদাম ব্যবহার করতে পারেন।
আখরোট
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। এতে থাকা ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট আপনার হাড়ের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমে। আখরোটের মধ্যে কাজু ও কাঠবাদামের মতো ওমেগা-৩, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ডি-১২, ভিটামিন বি-৬ ফসফরাস এবং ফোলেট থাকে।
শণ বীজ
এই বাদামজাতীয় বীজটি প্রোটিন, ফাইবার এবং ওমেগা-৩ এর ভাণ্ডার বলা যায়। ফ্ল্যাক্স সিডে আছে উচ্চ আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড এবং ক্যালসিয়াম। যার আপনার হাড়ের স্বাস্থ্যকে দারুণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। আপনি চাইলে স্মুদির মিশ্রণের ওপর এই বীজ ছড়িয়ে দিতে পারেন। বা হালকা ভেজে নিয়ে খেয়ে ফেলতে পারে চিবিয়ে।
সূর্যমুখী বীজ
প্রোটিন ও নানা ধরনের খনিজের আরেক খনি হলো সূর্যমুখী বীজ। এর পুষ্টির প্রোফাইলটা বেশ নামিদামি। অনেকে সরাসরি এ বীজ হালকা ভেজে খান, অনেকে আবার সূর্যমুখীর মাইক্রোগ্রিন তথা কচি চারা বানিয়ে খান। এই মুচমুচে বীজে আছে ম্যাঙ্গানিজ এবং তামা। হাড়ের সংযোগকারী টিস্যুর জন্য দুটোই দারুণ গুরুত্বপূর্ণ।