দিনাজপুর বার্তা২৪ ডেক্স: লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী তিস্তা নদীর কারণে বিছিন্ন ওই তিন জেলার যোগাযোগ রক্ষাকারী হরিপুর-চিলমারী তিস্তা নদীর উপর সেতুটি নির্মার্ণের শুভ সূচনা শুরু হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার চন্ডিপুর ইউনিয়নে উজান বোচাগাড়ি গ্রামের তিস্তার পাড়ে তিস্তা সেতু নির্মাণ কাজের সুচনার আলোচনা সভা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খোরর্শেদ আলম প্রামানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সেতুটি নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক খন্দকার মাহবুব হোসেন, কনসালটেন্ট আব্দুস সোবহান, সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম প্রামানিক, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রেজিয়া বেগম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর, সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলনের আহবায়ক আ.ব.ম শরিতুল্যাহ (মাস্টার), জেলা পরিষদের সদস্য জামিউল আনসারি লিংকন প্রমুখ। বক্তরা বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ৭’শ ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৪’শ ৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে লালমনিহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার দু-পাড়ের লাখ-লাখ মানুষের যেমন যাতায়াতের বন্ধুর পথ খুলে যাবে, তেমনি অত্রাঞ্চলের লাখো-লাখো হেক্টর অনাবাদি জমি ফসলী জমিতে রূপ নেবে। এছাড়া এলাকায় কর্মহীন মানুষ তাদের জীবন জীবিকার পথ যেমন খুঁজে পাবে তেমনি বিছিন্ন দু-অঞ্চলের মানুষের মাঝে গড়ে উঠবে সেতু বন্ধন। খুলে যাবে উন্নয়নের দুয়ার। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারী ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জেলা শহর গাইবান্ধা থেকে সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন। পরে একনেকের বৈঠকে সেতুটি নির্মাণের জন্য ব্যয় বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়।