দিনাজপুর বার্তা২৪.কম :- দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের দেহে করোনা ভাইরাস আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত শতাধিক লোককে এই ব্যবস্থায় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কেউ এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ফরিদপুরে হোম কোয়ারেন্টাইনে ইতালিফেরত ৩ ভাই: করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ফরিদপুরে ইতালিফেরত তিন ভাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা তিনজনই স¤প্রতি ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন। বুধবার ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন জানান, গত ২ মার্চ শহরের ঝিলটুলীর বাসিন্দা তিন ভাই ইতালি থেকে দেশে রওনা হন। ৩ মার্চ তারা দেশে ফেরেন। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়। তবে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তাদের মাঝে করোনাভাইরাসের লক্ষণও পাওয়া যায়নি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সতর্কতামূলক পর্যবেক্ষণের জন্যই তারা তাদের বাসায় অন্যান্যের সঙ্গে মেলামেশা না করে পৃথক রয়েছেন। সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ওই তিন ব্যক্তিকে একটি পৃথক রুমে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করে তাদের খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ তাদেরকে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার জন্য কোনো পোশাক কিংবা মাস্ক সরবরাহ করতে পারেনি। ফরিদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। আর জেনারেল হাসপাতালে পাঁচটি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি অবনতি হলে ফরিদপুরে সরকারি উদ্যোগে পৃথক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হবে।
দিনাজপুরে কোয়ারেন্টাইনে চীনফেরত শিক্ষার্থী: দিনাজপুরে ১৩ দিন আগে চীনফেরত এক শিক্ষার্থী জ¦র-সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় নাক ও গলার লালার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস সন্দেহে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চীনের জেজিয়াং প্রদেশ থেকে মালয়েশিয়া হয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দিনাজপুরে আসেন ওই শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৩ দিন আগে সুস্থ অবস্থায় চীন থেকে দিনাজপুর আসেন ওই শিক্ষার্থী। তিনদিন আগে জ¦র-সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হন তিনি। তার একদিন পরই ওই শিক্ষার্থীর বাবা জ¦র-সর্দিতে আক্রান্ত হন। দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুছ কুদ্দুছ বলেন, দিনাজপুরের যেসব শিক্ষার্থী কিছুদিনের মধ্যে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছে তাদের সবাইকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছিলাম। এরইমধ্যে গত মঙ্গলবার দিনাজপুর শহরের উপশহর এলাকায় একজনের অসুস্থ হওয়ার খবর পাই। অসুস্থ ব্যক্তি চীনের জেজিয়াং প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে রাতেই একটি মেডিকেল টিম নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি পরিদর্শন করি। তার শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলেও করোনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তার বাবার শরীরেও একই রকম উপসর্গ লক্ষ্য করা গেছে। সিভিল সার্জন মো. আব্দুছ কুদ্দুছ আরও বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ঢাকার রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) বিষয়টি জানানো হয়। গতকাল বুধবার রংপুর আইইডিসিআরের দুই সদস্যের একটি দল অসুস্থ শিক্ষার্থীর নাক ও গলার লালার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। তারা ওই নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠাবেন। সেখান থেকে বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করা হবে।
মানিকগঞ্জে ৭৯ জন: মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বিদেশ ফেরত ৭৯ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে। শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ না থাকলেও স¤প্রতি বিদেশ থেকে আসার কারণে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১২ বেডের আইসোলেশন ইউনিট এবং সদর উপজেলার কেওয়ারজানি এলাকায় আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ১০০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন আরও জানান, জেলায় প্রায় ১২০০ বিদেশ ফেরত ব্যক্তি রয়েছেন। তারা স¤প্রতি ইতালি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন।
কিশোরগঞ্জে ৩৭ জন: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিদেশ ফেরত ৩৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই ইতালি থেকে স¤প্রতি দেশে ফিরেছেন। এছাড়াও সৌদি আরব, জর্ডান ও সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসা কয়েকজন রয়েছেন। এই ৩৭ জন গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন সময়ে দেশে এসেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জর সিভিল সার্জন ডা. মুজিবর রহমান। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৩৭ জনের তথ্য জাতীয় রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। তবে ৩৭ জনের মধ্যে কারোরই করোনা ভাইরাসের কোনও উপসর্গ নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদেশ ফেরত সবাইকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তাদের সবাইকে নিজ নিজ বাসায় একটি কক্ষে সম্পূর্ণ আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের বাসায় গিয়ে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোন কিছু নেই। এর আগেও আমরা কিশোরগঞ্জের কয়েকটি উপজেলায় বিদেশ ফেরত আরও কয়েকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছিলাম। এখন পর্যন্ত একজনেরও কোভিড-১৯-এর লক্ষণ বা আক্রান্তের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।
যশোরে ছয় জন: যশোরের চৌগাছায় ইতালি ফেরত এক দম্পতিসহ মোট ছয় জনকে একজন চিকিৎসকের তত্ত¡াবধানে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে। তবে ওই দম্পতি বা তাদের পরিবারের কোনও সদস্যের শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার। তিনি জানান, ইতালি ফেরত ওই ব্যক্তির বাবাসহ ছয় জনকে আমাদের তত্ত¡াবধানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টিতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কীভাবে থাকতে হবে সে বিষয়ে আমি নিজে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে এসেছি। তারা নিজেদের ঘরেই থাকবেন। তিনি আরও জানান, ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ১২টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম, ব্যবস্থাপনা কমিটি ও র্যাপিড রেসপন্স কমিটি করা হয়েছে। যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, কোয়ারেন্টাইন বলা যাবে না। যেহেতু শুধু আক্রান্তদের সংস্পর্শে এলে তাকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হয়। ওঁরা যাদের সংস্পর্শে ছিলেন, তারা তো রোগী নন। আমরা একে পর্যবেক্ষণে রাখা বলছি।
কেরানীগঞ্জে পাঁচ জন: ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিদেশ থেকে আসা চার জনসহ মোট পাঁচ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ইতালি থেকে আসা এক ব্যক্তিকে স্ত্রীসহ জিনজিরা ২০ শয্যা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আর কুয়েত থেকে আসা একজন ও ভারত থেকে আসা দুইজনকে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মীর মোবারক হোসাইন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে তিনি জানান, এদের কারও শরীরেই করোনা ভাইরাসের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এরপরও তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জে পাঁচ জন: নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাস পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসা এক চীনা নাগরিকসহ মোট পাঁচ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে তাদের মধ্যে যদি জ¦র, সর্দি, কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পাতলা পায়খানাসহ শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দেয় তবে টেলিফোনে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বা সিভিল সার্জন কিংবা ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসককে (আরএমও) জানাবেন তারা। কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রত্যেককে সিভিল সার্জন, আরএমও এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। যদি এমন কোনও সমস্যা হয়, সিভিল সার্জন অফিসের ডাক্তাররা তাদের কার্যকর ড্রেস পরে ওই রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তা ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠাবেন। পরীক্ষায় যদি কিছু ধরা পড়ে তবে পরের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, নগরীর একটি ফ্ল্যাটে ইতালি ফেরত করোনা ভাইরাস পজেটিভ এক রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে একই পরিবারের চার জনকে একটি ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছে। আর সন্দেহভাজন হিসেবে এক চীনা নাগরিককে ফতুল্লায় একটি ফ্ল্যাটে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন জানান, ইতালিসহ যেকোনও দেশ থেকে কেউ ফেরত এলে তাদের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর রাখছি। যারাই বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আসছে, তাদের ১৪ দিন নিজের ঘরে কোয়ারেন্টাইন থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।
বগুড়ায় দুই জন: বগুড়ায় বিদেশ ফেরত দুই জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে। তাদের আগামী দুই সপ্তাহ বাইরে বের না হতে অনুরোধ করা হয়েছে। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, বগুড়া সদরের ইতালি প্রবাসী ওই ব্যক্তি গত ৭ মার্চ বাড়িতে ফিরেছেন। এ ছাড়া সোনাতলা উপজেলায় এক কুয়েত থেকে ফিরেছেন গত ৮ মার্চ। তারা দুই জন সুস্থ হলেও তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ তাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়। বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাউসুল আজিম চৌধুরী বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা সুস্থ আছেন। কিন্তু অধিকতর সতর্কতা এবং জনমনের শঙ্কা দূর করতেই তারা এখন স্বাস্থ্য বিভাগের নজরদারিতে রয়েছেন।
নরসিংদীতে দুই জন: নরসিংদী সদর ও রায়পুরা উপজেলায় বিদেশ ফেরত দুই ব্যক্তিকে যার যার বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা এক সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খুলনায় একজন: খুলনায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স¤প্রতি ইতালি থেকে আসা একজনকে বয়রার তার বাড়িতে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাকে আরও চার দিন বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের তদারকির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণে টাস্কফোর্স কমিটি গঠিত হয়েছে। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, ‘নগরীর বয়রায় ইতালি থেকে একজন আসার খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সমন্বিত টিম ওই বাড়িতে যায়। সেখানে তারা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। খুলনায় আসার পর তার ১৪ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। তার করোনার কোনও লক্ষণ নেই। তারপরও অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে তাকে আরও চার দিন বাড়ি থেকে বের না হতে অনুরোধ করা হয়েছে। আর সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে জেলা ও উপজেলায় টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে। এ কমিটির মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের ব্যাপারে তথ্য জানা, সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
সিলেটে সৌদি ফেরত নারী হাসপাতালে: সিলেটে ৭০ বছর বয়সী এক নারীকে তার বাড়ি থেকে বুঝিয়ে এনে সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মীরা দক্ষিণ সুরমায় ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ বলেন, আমাদের অফিসের কর্মীরা ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে সার্বিক বিষয় বুঝিয়ে বলার পর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে রাজি হন। ওই নারী ১২ দিন আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। গত কয়েকদিন থেকে তিনি জ¦র অনুভব করলে চিকিৎসার জন্য গত মঙ্গলবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। এ সময় চিকিৎসকরা তিনি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন ধারণা করে তাকে কিছু পরীক্ষা করিয়ে আনতে বলেন। এরপর ওই নারী পরীক্ষা না করিয়ে বাড়িতে চলে যান।