দিনাজপুর বার্তা২৪.কম॥ মহাকাশ গবেষনা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক প্রতিযোগীতায় সেরা পাঁচে অবস্থান করছে হাবিপ্রবি’র দল ইংলাইটাস। চুড়ান্তপর্বে অনলাইনের ভোটের মাধ্যমে ৫টি দলের মধ্যে একটি দলকে বিজয়ী করার লক্ষে দিনাজপুর হাবিপ্রবির টিমকে বিজয়ী করতে অনলাইনে ভোট প্রার্থনা করছে দলের সদস্যরা। তাই সকল শিক্ষার্থী সহ সাধারন মানুষকে ভোটদানে উৎসাহীত করতে প্রচার প্রচারনা চালাতে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষনা সংস্থা নাসার আয়োজনে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৭ -এর ১শ ৪৭টি দেশের মোট ১ হাজার দল অংশ নেয়। যার মধ্য থেকে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘ইংলাইটাস’ সেরা পাঁচে নিজেদের অবস্থান করতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আঞ্চলিক পর্বে মোট ১১টি প্রকল্প চুড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে তার মধ্যে হাবিপ্রবির ইংলাইটাস দলের প্রকল্পও রয়েছে।
হাবিপ্রবির চারজন শিক্ষাথীকে নিয়ে গঠিত ইংলাইটাস দলটি “নদী দূষনের মূল কারন ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা জন্য রোবট আবিস্কার করার প্রজেক্ট ”প্রতিযোগিতায় তুলে ধরে এবং সেরা ৫ এ স্থান করে নিয়েছে । বর্তমানে দলটি মনে করছেন, যেহেতু পিপলস চয়েজ বিভাগে অনলাইন ভোটের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী নির্ধারিত হবে, তাই সাধারন মানুষের দোর গোড়ায় তথ্যটি পৌছে দেয়ার জন্য প্রিন্ট ও ইলেক্টোনিক মিডিয়ার সাহায্য প্রত্যাশা করেন তারা ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে টিমের সদস্য আহম্মেদ অনন্য মাসুদ বলেন,চুড়ান্তে পর্বে বিজয়ী হওয়ার জন্যে পিপলস্ অনলাইনে আগামী ৫জুন পর্যন্ত ভোট অনুষ্ঠিত হবে,প্রত্যেক ভোটার তার অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে একবার ভোট প্রদান করতে পারবেন। পিপলস্ চয়েস বিভাগে সর্বচ্চো ভোট প্রাপ্ত দলকেই বিজয়ী করা হবে তাই আমরা চাই দেশবাসী আমাদেরকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে এবং প্রকল্পগুলোতে পরবর্তীতে সরাসরি বিচারকগন পর্যালোচনা করবেন। তিনি বলেন, চুড়ান্ত অনলাইন ভোট পর্বে বাংলাদেশের পাশাপাশি কসোভো,ভারত ও সাইপ্রাসের প্রকল্প রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইংলাইটাস দলের ৪ সদস্য আহমেদ অনন্য মাসুদ, মৌরী সামাদ মৌ, তানভির আহমেদ শাওন, খন্দকার তৌকির হোসেন, হাবিপ্রবি ফিল্মক্লাবের সভাপতি আশেক এলাহী,অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম ও শিক্ষার্থীরা। ##