ঢাকাবুধবার , ১৬ আগস্ট ২০১৭
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাহারোল
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খানসামা
  9. খেলা
  10. গাইবান্ধা
  11. ঘোড়াঘাট
  12. চাকরী বার্তা
  13. চিরিরবন্দর
  14. জাতীয়
  15. ঠাকুরগাঁও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দিনাজপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৫ জন।

মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
আগস্ট ১৬, ২০১৭ ১০:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দিনাজপুর বার্তা২৪.কম :-

বন্যায় দেশের ৯৬ উপজেলার ৬২৩ ইউনিয়নের সাত লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯টি পরিবারের ৩৩ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই দুর্যোগে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব গোলাম মোস্তফা বিষয়টি জানিয়েছেন। বন্যায় এত প্রাণহানির বিষয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষজন নদী পাড়ি দিতে এবং সাঁকো ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। তাদের অনেকে সাঁতারও জানেন না। এ কারণেই বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে। সচিব জানান, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের ২১টি জেলা বন্যাকবলিত। তিনি জানান, বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে মন্ত্রণালয়ে দুটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। গোলাম মোস্তফা জানান, বন্যা প্রলম্বিত হলেও সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ রয়েছে এবং তা সরবরাহ করা হবে। শুকনা খাবার বিতরণ অব্যাহত আছে। এদিকে আগামি দুই দিন সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্বের কয়েকটি প্রদেশ এবং বাংলাদেশে ভারি বৃষ্টির আভাস থাকায় দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির শঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজনীন শামীমা গত মঙ্গলবার জানান, মাঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ জেলা তথ্য পেয়েছেন তারা। এরমধ্যে ১৭টি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২ লাখ ২৮ হাজার ৩১০ জন। বন্যার পানিতে মারা গেছেন ৩৯ জন। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দিনাজপুর জেলায়। এ জেলার ১৩টি উপজেলার সবগুলোয় বন্যা কবলিত। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা এতে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৫ জন। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, রাঙামাটি, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, দিনাজপুর, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১৬০টি উপজেলার মধ্যে ৯০টি উপজেলা এখন বন্যায় প্লাবিত। ক্ষতিগ্রস্ত ৬৪৯ ইউনিয়নে দেড় হাজারের বেশি আশ্রয় কেন্দ্রে ৮৬ হাজারেরও বেশি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। প্রায় পাঁচ লাখ পরিবারের ২২ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দীসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দেশের উত্তর-উত্তর পূর্বাঞ্চলে নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ভারতের আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল ও বিহারে আগামি দুই দিন ভারি বর্ষণের শঙ্কা রয়েছে। এ সময় দেশের ভিতরেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এ অবস্থায় বিরাজমান বন্যার আরও অবনতি হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইফুল হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে বহ্মপুত্রের উজানে পানি কমছে। আগামি কয়েকদিনে এর প্রভাব পড়বে দেশেও। গঙ্গা-পদ্মার পানি বাড়লেও শঙ্কা নেই, বিপদসীমা এখনও ছাড়ায়নি। কিন্তু ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। অবনতিশীল পরিস্থিতির পরিবর্তন আসতেও সময় লাগবে বিস্তার ও ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় এবারের বন্যাকে ১৯৯৮ বা ১৯৮৮ সালের ‘ভয়াবহতা’র সঙ্গে তুলনা করার সময় এখনও হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে আগামীতে মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলো প্লাবিত হলে পরিস্থিতি ভিন্ন অবস্থায় দাঁড়াবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।